ডলি সায়ন্তনী হলেন একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী এবং ব্যবসায়ী। তার সুদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ১৫টি একক অ্যালবাম, ১০০টির উপরে দ্বৈত ও মিশ্রিত অ্যালবামের কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি ৭০০টির উপরে বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তার গাওয়া প্রথম চলচ্চিত্র ছিল উত্থানপতন। গানের কথা ছিল রংচটা জিন্সের প্যান্ট পরা, জ্বলন্ত সিগারেট ঠোঁটে ধরা। তিনি ২০০৪ সালে সেরা গায়িকা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন।
প্রাথমিক জীবন
ডলি সায়ন্তনীর জন্ম ২২ আগস্ট পাবনা জেলায়। তার শৈশব কেটেছে পাবনাতেই। পরিবারে ভাই বাদশা বুলবুল, বোন পলি সায়ন্তনীও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। ডলি সায়ন্তনীর মা মনোয়োরা বেগমও একজন সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। বাংলাদেশ বেতারের ‘দূর্বার’ অনুষ্ঠানে তিনি নিয়মিত গান গাইতেন।১৯৯০ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় মিল্টন খন্দকারের কথা ও সুরে সেলেক্স-এর ব্যানারে বাজারে প্রথম ডলির একক অ্যালবাম ‘হে যুবক’ বাজারে আসে। তিনিই ডলি থেকে ডলি সায়ন্তনী বানিয়েছেন।
কর্মজীবন
মাসুদ পারভেজ প্রযোজিত ‘ঘেরাও’ ছবিতে তিনি প্রথম প্লে-ব্যাক করেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ ছবিতে প্লে-ব্যাক করেছেন ডলি।দ্বৈত গানে সবচেয়ে বেশি গেয়েছেন তিনি অ্যান্ড্রু কিশোরের সঙ্গে। ডলি সায়ন্তনীর শ্রোতাসমাদৃত অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে ‘কালিয়া’, ‘নীরব রাতে’, ‘বিরহী প্রহর’, ‘সুখে থেকো’, ‘নিতাইগঞ্জে জমছে মেলা’, ‘বাংলাদেশের মেয়ে’। বর্তমানে ডলি সায়ন্তনী দেশ-বিদেশের স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেই সঙ্গে নিয়মিত প্লেব্যাকও করছেন।
তার স্বপ্ন ছিলো অনেক বড় শিল্পী হবার। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তবে গানকে ঘিরে একটা কষ্ট রয়েছে তার বুকের ভেতর। আর তা হলো, অসংখ্য সিনেমায় প্লে-ব্যাক করলেও আজ পর্যন্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তার ভাগ্যে জুটেনি। ডলি সায়ন্তনীর নিজের ভীষণ প্রিয়শিল্পী সামিনা চৌধুরী ও মিতালী মুখার্জি। তার এক জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু আয়েশা।
এরইমধ্যে ডলি সায়ন্তনী ‘কী ছোঁয়া তোমার চোখে’ শিরোনামের নতুন আরো একটি মৌলিক গান গেয়েছেন। এটি লিখেছেন হারুন রশীদ, সুর করেছেন নিজাম উদ্দিন জাহিন। ‘আমার কোন চাওয়ার নাই , আমার কোন পাওয়ার নাই, চাওয়া পাওয়ার যাতাকলে জীবন হলো ছাই’ গানটি ডলি’র নিজের গাওয়া সবচেয়ে প্রিয় গান।
চলচ্চিত্রের তালিকা
- উত্থান পতন – ১৯৯২
- কুলি – ১৯৯৭
- টাইগার – ১৯৯৭
- কে আমার বাবা – ১৯৯৯
- ম্যাডাম ফুলি – ১৯৯৯
- পাগলা ঘণ্টা – ১৯৯৯
- অনন্ত ভালবাসা – ১৯৯৯
- কারাগার – ২০০৩
- চার সতীনের ঘর – ২০০৫
- জীবন মরনের সাথী – ২০১১
- বস নাম্বার ওয়ান – ২০১১
- খোদার পরে মা – ২০১২
- ডন নাম্বার ওয়ান – ২০১২
- ফুল এন্ড ফাইনাল – ২০১৩
- লালচর – ২০১৫
- মেয়েটি এখন কোথায় যাবে – ২০১৭
উল্লেখযোগ্য গান
- “কালিয়া”
- “হে যুবক”
- “নিতাইগঞ্জ”
- “আমার মাটির গাছে লাউ ধইরাছে”













